পাহাড়ি খাবার

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত আদিবাসী জুম্ম জনগোষ্ঠী পাহাড়িদের খাবারে রয়েছে বৈচিত্র্যতা যা তাদের সমতলের অপরাপর জাতিগোষ্ঠীর লোকেদের থেকে নিঃসন্দেহে করেছে আলাদা। পাহাড়িদের বৈচিত্র্যময় সুস্বাদু খাবারের স্বাদ পেতে চায় অপরাপর জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা। কিন্তু তারা জানে না কিভাবে পাহাড়িদের খাবার তৈরি করতে হয়। তাদের জন্যই এই ব্লগ। ব্লগে পড়ুন আর ঘরে বসে পাহাড়ি খাবার তৈরি করুন।

বিগল বিচি দিয়ে কলার থোর রান্না

বিগল বিচি
বিগল বিচি
ছবি: সংগৃহীত
বিগল বিচি আমরা হয়তো সবাই চিনি না। বিগল বিচিগুলো দেখতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বলাকৃতির। সচরাচর কেউ বিগল বিচি চাষ করে না। এগুলো এমনিই রাস্তার ধারে বা সামান্য জঙ্গলে আপনা-আপনি জন্মে থাকে। বিগল বিচি পাহাড়িদের পছন্দের খাবারের একটি।
কলার মোচা
কলার থোর বা মোচা
ছবি: সংগৃহীত

আজ দেখবো কিভাবে কলার থোরের সাথে বিগল বিচি রান্না করে খাওয়া যায়।

বিগল বিচি দিয়ে কলার থোর রান্না:

প্রথমে কলার থোর বা কলার মোচার শক্ত পাপড়িগুলো সারাতে থাকবেন যতক্ষণ না কচি পাপড়ি পাওয়া যায়। রান্নার জন্য মূলত কচি পাপড়ি এবং কচি ফুলগুলো রাখা হয়। এক একটা পাপড়ি সরালেই কয়েকগুচ্ছ কলাফুল পাওয়া যায়। এই ফুলগুলোর ভেতরের কাঠির মত অংশ ফেলে দিয়ে বাকিগুলো রাখতে হবে। এভাবে কচি পাপড়ি ও ফুলগুলো সংগ্রহ করে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালোমতো ধুয়ে নিবেন।
কলার থোর
রান্নার উপযোগী কলার থোরের অংশসমূহ



এবার নাপ্পী পানিতে মিক্স করে ছেঁকে নিবেন। ছাঁকা পানিতে প্রয়োজনমত লবণ, মরিচ বাটা দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। যারা নাপ্পী খান না তারা শুধুমাত্র চিংড়ি শুটকি ব্যবহার করেও রান্নাটা করে নিতে পারেন। 
সঙ্গে সঙ্গে বিগল বিচিগুলো ভালোমতো ধুয়ে প্রতিটা বিগল বিচিকে মাঝ বরাবর দুভাগ করে কেটে নিবেন। এরপর পানি ফুটতে থাকলে তৈরি করে রাখা কলার থোরের অংশগুলো এবং বিগল বিচিগুলো দিয়ে দিন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ৪-৫ মিনিট পর টেস্ট করে দেখুন সিদ্ধ হয়েছে কিনা। সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত পাত্র চুলায় রেখে দিন। রান্না শেষ হলে ঢাকনা হালকা করে দিয়ে রাখুন। না হলে রান্নার স্বাদ ভালো হবেনা। 








No comments:

Post a Comment

লেখা পাঠান

Name

Email *

Message *