পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত জুম্মো জনগোষ্ঠীসমূহ মূলত পাহাড়ি নামে পরিচিত। এখানে ১৪ টা জাতিসত্তার বসবাস রয়েছে। জাতিসংঘের ঘোষণাপত্র অনুযায়ী তারা আদিবাসী হিসেবেই পরিচিত। আবার ১৪ টা পাহাড়ি জাতিসত্তা একত্রে জুম্মো জাতি হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে থাকে যেমনটা ভারতের মিজোরামে বসবাসরত কুকি, লুসাই ও অপরাপর জাতিসত্তারা একত্রে মিজো নামে পরিচিত।
সারাবিশ্বে যখন রেড ্ওয়াইন, হুইস্কি, রাম, ভদকা, বিয়ার বিপুল পরিমাণে উৎপাদন হচ্ছে, তখন পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীও। তাদের উৎপাদিত মদ মূলত চোলাই মদ।
আসুন জেনে নিই, কিভাবে পাহাড়িরা নিজস্ব পদ্ধতিতে চোলাই মদ তৈরি করে থাকে-
সারাবিশ্বে যখন রেড ্ওয়াইন, হুইস্কি, রাম, ভদকা, বিয়ার বিপুল পরিমাণে উৎপাদন হচ্ছে, তখন পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীও। তাদের উৎপাদিত মদ মূলত চোলাই মদ।
আসুন জেনে নিই, কিভাবে পাহাড়িরা নিজস্ব পদ্ধতিতে চোলাই মদ তৈরি করে থাকে-
মুলি দারু ফুলগাছ |
উপকরণ:
পাহাড়িরা মূলত দুইটা প্রধান জিনিসের সমন্বয়ে মদ তৈরি করে থাকে।
১। মুলি
২। চাউল
যেভাবে মুলি তৈরি করা হয়
মুলি একটা চাকমা শব্দ। মদ তৈরির উল্লেখযোগ্য ভূমিকা এই মুলির। মুলি তৈরি করা হয় চাকমা ভাষায় মুলি দারু ফুলগাছ (উপরের ছবিতে দেখেন)-এর বাকল এবং চাউল গুঁড়ো দিয়ে। বাকল ও চাউল ঢেঁকিতে গুঁড়ো করা হয়। গুঁড়োর মিশ্রণটির সাথে হালকা রসুন ও মরিচ মেশানো হয় আরেকটু ঝাঁঝালো হওয়ার জন্য। এরপর মিশ্রণটিতে পরিমাণমত পানি মিশিয়ে গোল গোল বা চ্যাপ্টাকৃতির মুলি বানানো হয়। তারপর বানানো মুলিগুলোকে উপর-নিচ খড় দিয়ে তার মাঝে রেখে একটা পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে ২-৩ রাত রাখা হয়। মুলিগুলো সাদা রঙ ধারণ করলে রোদে শুকিয়ে নেয়া হয়। এভাবেই মুলিগুলোকে মদ তৈরির উপযোগী করে তোলা হয়।
উচ্চ শিক্ষার পাঠ্য বিষয়গুলো অনলাইনে সহজলভ্য করেছে ব্লগ সহজপড়া
যেভাবে পাহাড়িরা মদ তৈরি করে
প্রথমে চা্উল রান্না করে ভাত করা হয়। ভাতগুলো বেড়ে মুলির গুঁড়া দিয়ে মিক্স করা হয়। তারপর একটা বড় পাত্রে পানি দিয়ে মুলির গুঁড়া মেশানো ভাতগুলোকে ভিজিয়ে রাখা হয় ২-৩ রাত। এটাকে মদভাত বলা হয়। ২-৩ রাত পর মদভাত হানজি(চাকমা ভাষা)-তে পরিণত হয়। তখন মদ না বানিয়েও হানজি আকারে এটাকে খাওয়া যায়। অনেকে মদ খায় না, কিন্তু এই হানজিটা খায়। মূলত মদভাত থেকেই পাতন প্রক্রিয়ায় বাষ্পীভবন ও ঘনীভবনকে কাজে লাগিয়ে মদ তৈরি করা হয়।
মদভাতের পাত্রটাকে চুলায় রেখে তাপ দেয়া হয়। পাত্রের উপরে তলা ছিদ্রযুক্ত একটা মদ তৈরির বিশেষ মাটির পাত্র লাগানো হয়।মাটির পা্ত্রের উপর একটা বাঁশের কয়েকহাত লম্বা চোঙা লাগানো হয় যা দিয়ে মদগুলো বাষ্পাকারে আরেকটা পাত্রে নেয়া হয়, যেখানে ঠান্ডা পানি ঢেলে বাষ্পগুলোকে ঘনীভূত করে নল দিয়ে বোতলে মদ সংগ্রহ করা হয়।এই ছিলো পুরনো পদ্ধতি।
বর্তমানে আরো নতুন নতুন পদ্ধতি দিয়ে আরো সহজভাবে মদ তৈরি করা হয়।
অনলাইন শিক্ষার অন্যতম প্লাটফর্ম গুরুগৃহ
ইস্টের কথা বললেন না ?
ReplyDelete