পাহাড়ি খাবার

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত আদিবাসী জুম্ম জনগোষ্ঠী পাহাড়িদের খাবারে রয়েছে বৈচিত্র্যতা যা তাদের সমতলের অপরাপর জাতিগোষ্ঠীর লোকেদের থেকে নিঃসন্দেহে করেছে আলাদা। পাহাড়িদের বৈচিত্র্যময় সুস্বাদু খাবারের স্বাদ পেতে চায় অপরাপর জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা। কিন্তু তারা জানে না কিভাবে পাহাড়িদের খাবার তৈরি করতে হয়। তাদের জন্যই এই ব্লগ। ব্লগে পড়ুন আর ঘরে বসে পাহাড়ি খাবার তৈরি করুন।

চিংড়ি দিয়ে কাঁঠাল রান্না রেসিপি - পাহাড়ি খাবার

চিংড়ি, কাঁচা কাঁঠাল, এঁচোড় চিংড়ি রেসিপি
চিংড়ি দিয়ে কাঁঠাল রান্না

কাঁঠাল বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। যেমন- কাঁঠালের সাথে আলু মিশিয়ে রান্না করা যায়, ছুরি শুটকি মিশিয়ে রান্না করা যায়, তাজা চিংড়ি দিয়েও রান্না করা যায়। তাজা চিংড়ি দিয়ে কাঁচা কাঁঠাল রান্নাকে অনেকে কাঁঠালি চিংড়ি আবার অনেকে ‘এঁচোড় চিংড়ি’ বলে থাকে।

আজ জানবো চিংড়ি দিয়ে কাঁঠাল রান্না রেসিপি বা এঁচোড় চিংড়ি রেসিপি।

যা যা লাগবে

১। কচি কাঁঠাল একটা (মাঝারি সাইজের)

২। চিংড়ি ১০০-২৫০ গ্রাম

৩। পেঁয়াজ ২ টা

৪। জিরা গুড়া ১/২ চা চামচ

৫। মরিচ (ঝাল অনুযায়ী) 

৬। লবণ পরিমাণমত

৭। হলুদ গুঁড়া সামান্য পরিমাণে

৮। চালের গুঁড়া ( ২-৩ টেবিল চামচ পরিমান চাল একটা পাত্রে ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে হামান দিস্তায় ছেঁচিয়ে নিতে পারেন।)

৯। রসুন ২-৩ কোয়া

১০। নাপ্পী বা সিদোল অল্প পরিমাণ (পাহাড়িদের জন্য। অন্যরা স্কিপ করে যেতে পারন।)

আরও পড়তে পারেন: বেগুন দিয়ে ঝাল ঝাল টমেটো ভর্তা

রান্নার পদ্ধতি

প্রথমে কাঁঠালটি লম্বালম্বি ভাবে মাঝ বরাবর কেটে নিয়ে একটা গামলায় পানি নিয়ে সেখানে ভিজিয়ে রাখতে হবে যাতে কাঁঠালের আঠা কমে আসে। এবার সেগুলোকে আবার ছোট ছোট সাইজের লম্বালম্বি ভাবে কেটে নিতে হবে। তারপর কাঁঠালের বাইরের পুরু অংশ বা বাকল কেটে ফেলে দিতে হবে। এবার কাঁঠালের টুকরোগুলোকে ছোট ছোট সাইজের পিস করতে হবে। মানে সাইজটা এমন হতে হবে একদম কুচি কুচি করে কাটাও না, আবার বড় বড় সাইজেরও না। কাটা শেষ হলে ধুয়ে নিয়ে একটা পাত্রে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে।

এরপর একটা পাত্রে পানি নিয়ে ১০ মিনিটের জন্য কাঁঠাল সিদ্ধ করে নিতে হবে।

এবার চিংড়ি গুলো ভালোমত ধুয়ে নিয়ে একটি পাত্রে তুলে রাখুন। হামান দিস্তায় মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন আর হালকা পরিমাণ আদা ছেঁচিয়ে মানে বেটে নিন। 

পড়ুন: ব্যাঙ যেভাবে খাওয়া যায় - পাহাড়ি খাবার রেসিপি

চুলায় পাত্র বসিয়ে তেল গরম করে নিন। গরম তেলে ছেঁচিয়ে রাখা মরিচ, পেঁয়াজ, আদা, জিরা গুড়া, লবণ ও সামান্য পরিমাণ হলুদ দিয়ে দিন। এরপর কাঁঠাল আর চিংড়ি একসাথে দিয়ে হালকা নেড়ে দিয়ে ঢাকনি দিয়ে মিডিয়াম আঁচে ৫ মিনিট রান্না করুন। 

একটি পাত্রে নাপ্পি নিয়ে পানিতে মিক্স করে ছাঁকা পানিটা তরকারিতে দিয়ে দিন। এক্ষেত্রে যারা নাপ্পি খান না তারা শুধু পানি দিলেও চলবে। ১৫-২০ মিনিট রান্না করার পর যখন দেখবেন তরকারি হয়ে এসেছে তখন চালের গুঁড়ায় সামান্য পানি দিয়ে তরকারির সাথে মিশিয়ে নিবেন। এবং সাথে ছেঁচিয়ে রাখা রসুন টাও দিয়ে দিবেন। ঢাকনি দিয়ে ঢেকে ৩-৪ মিনিট অপেক্ষা করে লবনের পরিমাণ চেখে দেখবেন। তারপর স্বাদ অনুযায়ী লবণ দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিবেন। বেশ, হয়ে গেলো কাঁঠালের সাথে চিংড়ির মজাদার রান্না।

নিত্য-নতুন মজাদার পাহাড়ি খাবারের সঙ্গে পরিচিত হতে পাহাড়ি খাবার ব্লগের সঙ্গেই থাকুন।

No comments:

Post a Comment

লেখা পাঠান

Name

Email *

Message *