পাহাড়ি খাবার

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত আদিবাসী জুম্ম জনগোষ্ঠী পাহাড়িদের খাবারে রয়েছে বৈচিত্র্যতা যা তাদের সমতলের অপরাপর জাতিগোষ্ঠীর লোকেদের থেকে নিঃসন্দেহে করেছে আলাদা। পাহাড়িদের বৈচিত্র্যময় সুস্বাদু খাবারের স্বাদ পেতে চায় অপরাপর জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা। কিন্তু তারা জানে না কিভাবে পাহাড়িদের খাবার তৈরি করতে হয়। তাদের জন্যই এই ব্লগ। ব্লগে পড়ুন আর ঘরে বসে পাহাড়ি খাবার তৈরি করুন।

নাপ্পি বা সিদল যেভাবে তৈরি করা হয় - পাহাড়ি খাবার

 

নাপ্পি, সিদল, নাপ্পী,
নাপ্পি বা সিদল

নাপ্পি পাহাড়িদের কাছে বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। প্রায় সব তরকারিতেই নাপ্পির ব্যবহার করে থাকে পাহাড়িরা। মূলত শুঁটকির পরিবর্তে নাপ্পি ব্যবহার করা হয়। পাহাড়িরা নাপ্পিকে সিদলও বলে থাকে। 

আজ জানবো পাহাড়িদের প্রিয় খাবার নাপ্পি বা সিদল তৈরির প্রক্রিয়া।

নাপ্পি বা সিদল তৈরি করার প্রক্রিয়া

উত্তরাঞ্চলে যেসব সিদল তৈরি হয় তা থেকে অনেকটাই ভিন্ন পার্বত্য অঞ্চলে প্রচলিত নাপ্পি বা সিদল তৈরির প্রক্রিয়া। পার্বত্য অঞ্চলে যেসব সিদল সরবরাহ করা হয় তা মূলত তৈরি করা হয় কক্সবাজারের রাখাইন পল্লিতে। পরে এসব জায়গা থেকে চট্টগ্রাম ও তিন পার্বত্য জেলা (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) এবং বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই করা হয়। এমনকি দেশে তৈরি এই নাপ্পি দেশের সীমানা পেরিয়ে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, কলকাতা, মায়ানমার, চীন, জাপান ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: চিংড়ি দিয়ে কাঁঠাল রান্না রেসিপি - পাহাড়ি খাবার

গ্রীষ্মের মৌসুম নাপ্পি তৈরির উপযুক্ত সময়। এসময় কক্সবাজারের চৌফলদন্ডী, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও টেকনাফসহ বিভিন্ন রাখাইনপল্লি ব্যস্তময় সময় পার করে। প্রায় ১০ হাজার রাখাইন নাপ্পি তৈরির সাথে সম্পৃক্ত। নাপ্পি বেশ লাভজনক হওয়ায় বর্তমানে রাখাইন জেলে ও ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অনেক মুসলিম বাঙালিরাও নাপ্পি প্রস্তুত ও বাজারজাতকরণের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।

নাপ্পি তৈরির প্রধান উপকরণ ছোট চিংড়ি, মাছ ও কাঁকড়া। স্থানীয়রা ছোট চিংড়িকে মিম চিংড়ি বলে থাকে। এসব ছোট চিংড়ি, মাছ ও কাঁকড়াগুলোকে ১২ ঘণ্টা রোদে শুকিয়ে শুঁটকি করা হয়। তারপর শুঁটকিগুলোকে কাঠের হাতুড়ি দিয়ে পেষণ করে অথবা ঢেঁকিতে চূর্ণ করা হয়। এসব শুঁটকি গুঁড়া আবারও ২৪ ঘণ্টা রোদে শুকানো হয়। তারপর শুঁটকি গুড়ার সঙ্গে প্রয়োজনমত পানি, লবণ ও অন্যান্য দ্রব্য মিশিয়ে নাপ্পি বা সিদল তৈরি করা হয়। এসব নাপ্পি পাতা দিয়ে মুড়িয়ে ২০ কেজি করে ঝুড়িতে বোঝাই করে গুদামজাত ও বাজারজাতকরণ করা হয়। 

পড়ুন: যেভাবে তৈরি করবেন উত্তরাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সিদল

এক থেকে দেড় মণের মিমি চিংড়ির ভারের দাম পড়ে দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকা। আর প্রতি মণ নাপ্পি কেনাবেচা হয় সর্বনিম্ন ৪ হাজার থেকে ৭ হাজারের মধ্যে। 

1 comment:

  1. হজরত মহম্মদের মুখে আমি দিয়েছি হেগে,
    গু ভর্তি মুখ নিয়ে ব্যাটা গিয়েছে ভেগে ।

    ReplyDelete

লেখা পাঠান

Name

Email *

Message *