পাহাড়ি খাবার

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত আদিবাসী জুম্ম জনগোষ্ঠী পাহাড়িদের খাবারে রয়েছে বৈচিত্র্যতা যা তাদের সমতলের অপরাপর জাতিগোষ্ঠীর লোকেদের থেকে নিঃসন্দেহে করেছে আলাদা। পাহাড়িদের বৈচিত্র্যময় সুস্বাদু খাবারের স্বাদ পেতে চায় অপরাপর জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা। কিন্তু তারা জানে না কিভাবে পাহাড়িদের খাবার তৈরি করতে হয়। তাদের জন্যই এই ব্লগ। ব্লগে পড়ুন আর ঘরে বসে পাহাড়ি খাবার তৈরি করুন।

চিদোল(নাপ্পী) দিয়ে বেগুন ও তারা রান্না

"তারা" এটি একটি সবজি, যা লম্বায় প্রায় ৬-৭ ফুট হয়। বিশেষ করে এগুলো পাহাড়ে বেশি জন্মে থাকে এবং এর একটি বিশেষ স্বাদের জন্য পাহাড়িদের কাছে খুব প্রিয় খাবারের একটি এই 'তারা'।  পাহাড়ি আদিবাসীদের উল্লেখযোগ্য উৎসব বিজু, বৈসু, সাংগ্রাই বা বৈসাবি'তে পাঁচন তরকারিতেও এটি ব্যবহার করা হয় এর অনন্য স্বাদের জন্য।  এবং অন্যান্য সবজির সাথেও এটি বেশ মানায়।
নিচে চিদোল(নাপ্পী) দিয়ে তারা আর বেগুন রান্নার রেসিপিটা দেয়া হল-

চিদোল নাপ্পী
বেগুন ও তারা তরকারি

প্রথমেই তারার খোসাগুলো সারিয়ে ভেতরের কচি অংশটা  বেের করে সাইজ অনুযায়ী কেটে নিন। বেশি বড়ও না, ছোটও না করে কুটবেন।
এরপর একটি পাত্রে পরিমাণ মত চিদোলের(নাপ্পী) পানি ছেঁকে নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। চিদোলের পরিমাণটা যেন বেশি না হয়। পরিমাণমত লবণ এবং মরিচ বাঁটা দিয়ে দিন । চাইলে তরকারির রংটা সুন্দর করার জন্য এক চিমটি হলুদের গুঁড়াও দিতে পারেন। এবং তরকারিতে পরিপূর্ণ স্বাদ আনার জন্য চিংড়ি শুটকিও দিতে পারেন। এরপর ঢাকনি দিয়ে ঢেকে দিয়ে ২ মিনিট অপেক্ষা করুন।

আরো পড়ুন: বেগুন দিয়ে কলার থোর ঝাল ঝাল রান্না

 যখন দেখবেন পানির মিশ্রণটি গরম হয়ে ফুটতে শুরু করেছে তখন কেটে রাখা তারাগুলো পাত্রে দিয়ে দিন । এরপর ৫-৬ মিনিট ঢাকনি দিয়ে ঢেকে অপেক্ষা করুন। এর ফাঁকে বেগুন গুলো কেটে নিয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। না হলে বেগুনের কালারটা কালো হয়ে গেলে আপনার তরকারিটা দেখতে সুন্দর দেখাবেনা। ৫-৬ মিনিট পর বেগুন গুলোও পাত্রে দিয়ে দিন। এরপর ঢাকনি দিয়ে ঢেকে বেগুন আরা তারা গুলো নরম না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। হালকা নরম হয়ে এলে পাত্রটা নামিয়ে নিন। কারণ বেগুন বেশি নরম হয়ে গেলে খেতে ভাল্লাগবেনা।
যারা চিদোল খেতে পছন্দ করেননা তারা চিদোলের বদলে শুধু শুটকি, চিংড়ি শুটকি দিয়েও রান্না করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে হয়তো স্বাদটা একটু ভিন্ন হতে পারে।

রেসিপিটি দিয়েছেন: সুস্মিতা চাকমা

No comments:

Post a Comment

লেখা পাঠান

Name

Email *

Message *